ভেটেরিনারি চিকিৎসা ও পশুপালনে সহয়তা করা।

অনলাইনে ২৪ ঘন্টা আমাদের ভেটেরিনারি চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হবে এবং প্রত্যন্ত অঞ্চলে আমাদের ভেটেরিনারি ক্যাম্প স্থাপন করার মাধ্যমে নির্দিষ্ট এলাকার মানুষের মাঝে পশু পাখির রোগ বিষয়ে সচেতনতা তৈরি করা, চিকিৎসা সেবা প্রদান করা, এবং সঠিকভাবে ওষুধের ব্যবহার করা সহ নানাবিধ সমস্যার সমাধান করবেন আমাদের ভেটেরিনারি চিকিৎসক টিম।
এই প্রকল্পের মাধ্যমে দেশের মানুষের পশু-পাখির রোগব্যাধির কারনে যে আর্থিক ক্ষতি হয় তা কমানোর চেষ্টা করা হবে এবং তৃনমূলের মানুষের পশু পালন নির্ভর যে অর্থনীতি তা আরও শক্তিশালী করা হবে।

সভ্যতার শুরু থেকে পশু পালন ছিল মানুষের প্রধান পেশা। যুগে যুগে এই পেশার ধরণ বদলেছে। সারা পৃথিবীতে পশুর খামার ব্যবসা একটি অন্যতম উৎপাদনশীল এবং লাভজনক ব্যবসা।

নিউজিল্যান্ড, হল্যান্ড, ফিনল্যান্ড, নেদারল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়াসহ ইউরোপ আফ্রিকার বিভিন্ন দেশে বৃহৎ আকারে শতভাগ বৈজ্ঞানিক ব্যবস্থাপনায় পশুর খামার পরিচালিত হয়। এসব খামারের সামগ্রিক ব্যবস্থাপনা, উৎপাদন তাক লাগিয়ে দেবার মত। বর্তমানে ভারতে বাণিজ্যিক আকারে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে খামার ব্যবসা শুরু হয়েছে এবং ভারতীয় উদ্যোক্তা মোটা অংকের মুনাফা দেখতে শুরু করেছে।

ভৌগলিক অবস্থানের কারনে বাংলাদেশ পশুর খামার ব্যবসায় উন্নত দেশের তুলনায় অনেক পিছিয়ে। তবে সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা এবং বিনিয়োগ সম্ভব হলে আমাদের দেশেও পশুর খামার লাভজনক করা সম্ভব। সত্য বলতে আমাদের দেশে শিক্ষিত কৃষি উদ্যোক্তা খুঁজে পাওয়া যায় না। আমাদের কাছে মনে হয় সরকার, সমাজ এবং পরিবার থেকে এই পেশার আধুনিকীকরণের কোন উৎসাহ নেই। বিষয়টা যেন বিধির অমোঘ বিধান, পেশাটি শুধুমাত্র গ্রামের শীর্ণ, দরিদ্র বা আধা শিক্ষিত বেকার তরুণদের জন্য। অবিলম্বে এই ধারণার পরিবর্তন প্রয়োজন। ভবিষ্যৎ পৃথিবীর অর্থনীতিতে কৃষি উদ্যোক্তা সামনের সারিতে থাকবে তা হলফ করে বলার প্রয়োজন নেই। বাংলাদেশ কৃষির জন্য অনেক সম্ভাবনাময় একটি দেশ।

ফলে চিকিৎসা ফাউন্ডেশন পশু পালন, পশু চিকিৎসা এবং খামারিদের সকল প্রকার সহায়তা প্রদানের জন্য অতিদ্রুত কিছু গুরুত্বপূর্ণ কার্যক্রম পরিচালনা করা শুরু করবে এবং অনলাইনে ভেটেরিনারি বিষয়ক প্রশিক্ষণ প্রদান ও পরামর্শ প্রদান অবশ্যই চলমান থাকবে।