শিক্ষা বিষয়ক
চিকিৎসা ফাউন্ডেশন কতৃক বাংলাদেশর সকল জেলা উপজেলার শিক্ষার্থীদেরকে মাত্র পাঁচ টাকায় একটি ক্লাস করার সুযোগ করে দেওয়া হচ্ছে।
অষ্টম শ্রেণি থেকে শুরু করে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত প্রায় সকল বিষয়ের যোগ্যতা সম্পূর্ণ প্রায় ১০০ জন শিক্ষক আমাদের আছেন। যারা আমাদের শিক্ষা ভলেন্টিয়ার হিসাবে কাজ করছেন এবং শিক্ষার্থীদের টিউশন ব্যায় কমাতে সহায়তা করছেন।
শিক্ষাই জাতির মেরুদণ্ড। এর গুরুত্ব ও শক্তি অপরিমেয়। শিক্ষার কাছে সব শক্তিই অসহায়। তাই “অসির চেয়ে মসির শক্তি বেশি” বলা হয়। শিক্ষা মানুষের শ্রেষ্ঠ সম্পদ। শিক্ষার গুণেই মানুষ সব সৃষ্টিরও শ্রেষ্ঠ। মানবসভ্যতা ও উন্নয়নের চাবকাঠিও শিক্ষা। দৈহিক উন্নতি ও মানসিক প্রশান্তির জন্যেও শিক্ষার প্রয়োজন। তাই শিক্ষার্জন প্রত্যেক নাগরিকের অধিকার ও কর্তব্য। তবে শিক্ষা হতে হবে সুশিক্ষা।
যে শিক্ষা জীবনঘনিষ্ট, কল্যাণধর্মী, উৎপাদনমুখী, যুগোপযোগী, মনুষ্যত্ব বিকাশধর্মী, বিশ্বাস ও ঐতিহ্যমণ্ডিত।
শিক্ষা বলতে বুঝায় কোনো বিশেষ জ্ঞান, কৌশল ও দক্ষতা অর্জন। ব্যাপক অর্থে শিক্ষার্থীর মাঝে সুপ্ত সব রকমের সম্ভাবনা বা প্রতিভার স্ফূরণ ঘটানোর মাধ্যমে সমাজের চাহিদা অনুযায়ী তার আচরণের কাঙ্খিত পরিবর্তন সাধন।
এ ছাড়া নতুন জ্ঞান আহরণ এবং আত্মীকরণও শিক্ষার অন্তর্ভুক্ত। ইংরেজ মহাকবি মিল্টনের মতে, Education is the harmonious development of body, mind and soul. অর্থাৎ শিক্ষা হচ্ছে দৈহিক, মানসিক ও আত্মিক শক্তির সমন্বিত উন্নয়ন। বিশিষ্ট দার্শনিক ও চিন্তাবিদ আল-ফারাবি বলেছেন, শিক্ষাই মানুষকে স্রষ্টা ও সৃষ্টির মাহাত্ম্য ও সৌন্দর্য উপলব্ধি করতে সহায়তা করে। মূলত জ্ঞান আহরণ ও বিতরণের যে প্রক্রিয়া মানুষকে আলোকিত করে এবং ব্যক্তির বোধোদয়ে সহায়তা করে, সুশীল নাগরিক তৈরিতে অবদান রাখে, এমন শিখন প্রক্রিয়াকে শিক্ষা বলা হয়। কোনো বিষয় সম্পর্কে চর্চা-অনুশীলনকেও শিক্ষা বলা যায়। শিক্ষা জীবনব্যাপী ও প্রবাহমান প্রক্রিয়া।
তাই সুশিক্ষা নিশ্চিত করতে চিকিৎসা ফাউন্ডেশন বদ্ধপরিকর।